User:Dipa/বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ

From WikiEducator
Jump to: navigation, search

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ১৯৭১ সালে সংঘটিত একটি মুক্তি সংগ্রাম। এর ব্যাপ্তি ছিল ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ হতে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত। রক্তক্ষয়ী এই স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ পাকিস্তান এর কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ প্রসঙ্গে দুই একটি কথা বলে কিছুই জানানো যায় না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সবলের বিরুদ্ধে দুর্বলের যুদ্ধ। বাঙালি জাতির মুক্তির যুদ্ধ। ১৯৭১সালের আগে বাংলাদেশ নামের কোন দেশের অস্তিত্ব ছিল না। তখন বাংলাদেশ ছিল পাকিস্তান এর একটি প্রদেশ। এর নাম ছিলো পূর্ব পাকিস্তান আর বর্তমান পাকিস্তান ছিল পশ্চিম পাকিস্তান। ১৯৪৭ এ দেশ ভাগ এর সময় শুধু মাত্র ধর্মের ভিত্তিতে হাজার মাইল এর দুরত্ব থাকা সত্বেও দুটি দেশ কে একটি দেশ হিসেবে ভাগ করে দেয়া হয়। পুর্ব পাকিস্তানের যাবতীয় শাসন কার্য চলতো পশ্চিম পাকিস্তান থেকেই। প্রথম থেকেই পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর একচোখা নীতি প্রকাশ পেতে থাকে চরম ভাবে।

পটভূমি

১৯৫২-র ভাষা আন্দোলন

১৯৫৪-র নির্বাচন

পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তান দ্বারা অর্থনৈতিক শোষনের শিকার হয়। পূর্ব পাকিস্তানের জনগন ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে তৎকালীন মুসলীম লীগ সরকারের উপর। তার প্রতিফলন ঘটে ১৯৫৪ সালের ৮ই মার্চ অনুষ্ঠিত প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শের-এ-বাংলা এ. কে. ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী নেতৃত্বে গঠিত মোর্চা যুক্তফ্রন্ট তাদের ২১ দফা কর্মসূচী-র ভিত্তিতে নির্বাচনে বিপুল বিজয় লাভ করে সরকার গঠন করে। কিন্তু ১৯৫৪ সালের ৩০শে মে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তফ্রন্ট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে পূর্ব পাকিস্তানে গভর্ণরের শাসন জারি করে। স্বায়ত্তশাসন থেকে বঞ্চিত করা হয় পূর্ব পাকিস্তানের জনগনকে।

১৯৬৬ -র ছয় দফা দাবি

১৯৬৬ সালে ৬ই ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ৬ দফা দাবি পেশ করেন। ছয় দফা দাবির মূল উদ্দেশ্য- পাকিস্তান হবে একটি Federal বা যৌথরাষ্ট্র এবং ছয় দফা কর্মসূচীর ভিত্তিতে এই Federation বা যৌথরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যকে পূর্ন স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। পরবর্তীতে এই ৬ দফা দাবিকে কেন্দ্র করে স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন জোরদার করা হয়। এই আন্দোলনকে স্তিমিত করার উদ্দেশ্যে সরকার মে মাসে শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে। এবং পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালে শেখ মুজিবুর রহমানসহ আরো কিছু বাঙালি সেনা, নৌবাহিনীর সদস্য ও প্রশাসনের পদস্থ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। যা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে পরিচিত। এই মামলার বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়।

১৯৬৯ -র আইয়ূব বিরোধী আন্দোলন

১৯৬৯ সালে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে পূর্ব পাকিস্তানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ প্রবল রূপ ধারন করে। ১৯৬৯ সালের ৪ই জানুয়ারি সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ তাদের ঐতিহাসিক ১১ দফা কর্মসূচী পেশ করেন। কিন্তু তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খান এই দাবি অগ্রাহ্য করে আন্দোলনকারীদের উপর দমন পীড়ন শুরু করেন। এই আন্দোলনের বিভিন্ন ঘটনায় প্রাণ হারান ছাত্রনেতা আসাদ, কিশোর মতিয়ুর, সার্জেন্ট জহুরুল হক, শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা সহ আরো অনেকে। এই সকল ঘটনায় সরকারের উপর চাপ বৃদ্ধি পেলে ২২শে ফেব্রুয়ারি সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে নিয়ে শেখ মুজিবসহ সকল বন্দীদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। অবশেষে আইয়ুব খান পদত্যাগ করেন এবং ২৪ শে মার্চ তার স্থলাভিষিক্ত হয়ে ইয়াহিয়া খান সাধারণ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষোভের অবসান হয়।

১৯৭০ -র সাধারন পরিষদ নির্বাচন

১৯৭০ সালের ৭ই ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় পরিষদের নির্বাচন এবং ১৭ই ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় পাকিস্তানের ৫টি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন। উভয় পরিষদের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। জাতীয় পরিষদের সর্বমোট ৩০০ টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৬০টি আসন অধিকার করে অন্যদিকে জুলফিকার আলী ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৮৮ আসন অধিকার করে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মর্যাদা লাভ করে।

অর্থনৈতিক বৈষম্য

পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৈষম্য ছিল। মোট জাতীয় বাজেটের সিংহভাগ বরাদ্দ থাকত পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য।[1]

বছর পশ্চিম পাকিস্তানের প্রাক্কালীন ব্যয় (রুপী কোটিতে) পূর্ব পাকিস্তানের প্রাক্কালীন ব্যয় (রুপী কোটিতে) পশ্চিম পাকিস্তানের তুলনায় পূর্ব পাকিস্তানে ব্যয়ের শতকরা পরিমান
১৯৫০/৫১-৫৪/৫৫ ১,১২৯ ৫২৪ ৪৬.৪
১৯৫৫/৫৬-৫৯/৬০ ১,৬৫৫ ৫২৪ ৩১.৭
১৯৬০/৬১-৬৪/৬৫ ৩,৩৫৫ ১,৪০৪ ৪১.৮
১৯৬৫/৬৬-৬৯/৭০ ৫,১৯৫ ২,১৪১ ৪১.২
মোট ১১,৩৩৪ ৪,৫৯৩ ৪০.৫

১৯৭০ সালে নির্বাচনের একটি পোস্টারে অর্থনৈতিক বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরা হয়।

বৈষম্য বিষয় বাংলাদেশ পশ্চিম পাকিস্তান
রাজস্ব খাতে ব্যয় ১৫০০ কোটি টাকা ৫০০০ কোটি টাকা
উন্নয়ন খাতে ব্যয় ৩০০০ কোটি টাকা ৬০০০ কোটি টাকা
বৈদেশিক সাহায্য শতকরা ২০ ভাগ শতকরা ৮০ ভাগ
বৈদেশিক দ্রব্য আমদানী শতকরা ২৫ ভাগ শতকরা৭৫ ভাগ
কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি শতকরা ১৫ জন শতকরা ৮৫ জন
সামরিক বিভাগে চাকরি শতকরা ১০ জন শতকরা ৯০ জন
চাউল (মণ প্রতি) ৫০ টাকা ২৫ টাকা
আটা (মণ প্রতি) ৩০ টাকা ১৫ টাকা
সরিষার তৈল (সের প্রতি) ৫ টাকা ২.৫০পয়সা
স্বর্ণ প্রতি ভরি ১৭০ টাকা ১৩৫ টাকা

১৯৭১ -র মার্চ

যুদ্ধ

২৫ মার্চের হত্যাযজ্ঞ

২৫ মার্চের আগে ঢাকা থেকে সব বিদেশী সাংবাদিককে বের করে দেয়া হয়। সে রাতেই পাকিস্তান বাহিনী শুরু করে অপারেশন সার্চলাইট নামের হত্যাযজ্ঞ। যদিও এই হত্যাযজ্ঞের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল ঢাকা, বাঙালি হত্যা পুরো দেশজুড়ে চালানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো ছিল তাদের বিশেষ লক্ষ। একমাত্র হিন্দু আবাসিক হল - জগন্নাথ হল পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এতে ৬০০ থেকে ৭০০ আবাসিক ছাত্র নিহত হয়। যদিও পাকিস্তান সেনাবাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ধরনের ঠান্ডা মাথার হত্যাকান্ডের কথা অস্বীকার করেছে তবে হামিদুর রহমান কমিশনের মতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্যাপক ধরনের শক্তি প্রয়োগ করেছিলো। জগন্নাথ হল এবং অন্যান্য ছাত্র হল গুলোতে পাকিস্তানীদের হত্যাযজ্ঞের চিত্র ভিডিওটেপে ধারণ করেন তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তান ইউনিভার্সিটি অব ইন্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনলজি (বর্তমান বুয়েট)এর প্রফেসর নূর উল্লাহ।

পুরো বাংলাদেশেই হিন্দু এলাকাগুলো বিশেষ ক্ষতির সম্মুখীন হয়। মধ্যরাতের আগেই, ঢাকা পুরোপুরি জ্বলছিল, বিশেষভাবে পূর্ব দিকের হিন্দু প্রধান এলাকাগুলো। ২রা আগস্ট, ১৯৭১ টাইম সাময়িকীর প্রতিবেদন অনুযায়ী, "হিন্দু,যারা মোট রিফিউজিদের তিন চতুর্থাংশ, পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর ক্রোধ ও আক্রোশ বহন করছিল"।

স্বাধীনতার ঘোষণা

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। গ্রেফতার হবার একটু আগে শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান। শেখ মুজিব গ্রেফতার হবার পূর্বে ২৫মার্চ রাত ১২টার পর (অর্থাত,২৬মার্চ) টি.এন্ড.টি ও ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ই.পি.আর) ওয়্যারলেসের মাধ্যমে মেসেজে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন(বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র,১৫শ খন্ড,পৃ:৫৬)। ২৫ মার্চ রাতের হত্যাযজ্ঞে আওয়ামী লীগের অনেক প্রধান নেতা ভারতে আশ্রয় নেয়। ২৬শে মার্চ চট্টগ্রাম বেতারের কয়েকজন কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ.হান্নান প্রথম শেখ মুজিব এর স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রটি মাইকিং করে প্রচার করেন। পরে মার্চ ২৭ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর এক বাঙালি মেজর জিয়াউর রহমান ২৭ মার্চ রাতে শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন। (সূত্র : মেজর জিয়া'র বেতার ঘোষনা এবং বেলাল মাহমুদের সাক্ষাত্কার) এই সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন কর্ণেল অলি আহমেদ (তত্কালীন ক্যাপ্টেন)। সরাসরি সেনাবাহিনীর থেকে আহব্বান পাওয়ার পর সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটে এবং দেশের মানুষ নিশ্চিত হয় যে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে শুরু হয়ে গেছে।

অস্থায়ী সরকার গঠন

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার -এর আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠা হয় কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমা (বর্তমানে জেলা) বৈদ্যনাথ তলার অন্তর্গত ভবেরপাড়া গ্রামে। শেখ মুজিবুর রহমান এর অনপুস্থিতিতে তাকে রাষ্ট্রপতি করে সরকার গঠন করা হয়। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দ্বায়িত্ব নেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব অর্পিত হয় তাজউদ্দীন আহমদ এর উপর।

যুদ্ধক্ষেত্র

১৯৭১ সালে সংগঠিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচলনায় অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য সমগ্র ভূখন্ডকে বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্র বা সেক্টরে ভাগ করা হয়।

যুদ্ধক্ষেত্র বিস্তৃতি কমান্ডার
১নং সেক্টর চট্টগ্রামপার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ফেনী নদী পর্যন্ত মেজর জিয়াউর রহমান (এপ্রিল - জুন), মেজর মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (জুন-ডিসেম্বর)
২নং সেক্টর নোয়াখালী জেলা, কুমিল্লা জেলার আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন পর্যন্ত এবং ফরিদপুর ও ঢাকার অংশবিশেষ মেজর খালেদ মোশাররফ (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর), মেজর এ.টি.এম. হায়দার(সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর)
৩নং সেক্টর সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা, কিশোরগঞ্জ মহকুমা, আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার অংশবিশেষ মেজর কে.এম. শফিউল্লাহ (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর), মেজর এ.এন.এম. নুরুজ্জামান (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর)
৪নং সেক্টর সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল এবং খোয়াই-শায়েস্তাগঞ্জ রেললাইন বাদে পূর্ব ও উত্তর দিকে সিলেট-ডাউকি সড়ক পর্যন্ত মেজর সি.আর. দত্ত
৫নং সেক্টর সিলেট-ডাউকি সড়ক থেকে সিলেট জেলার সমগ্র উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল মীর শওকত আলী
৬নং সেক্টর সমগ্র রংপুর জেলা এবং দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুমা এম.কে. বাশার
৭নং সেক্টর দিনাজপুর জেলার দক্ষিণাঞ্চল, বগুড়া, রাজশাহী এবং পাবনা জেলা মেজর কাজী নুরুজ্জামান
৮নং সেক্টর সমগ্র কুষ্টিয়া ও যশোর জেলা, ফরিদপুরের অধিকাংশ এলাকা এবং দৌলতপুর-সাতক্ষীরা সড়কের উত্তরাংশ মেজর আবু ওসমান (এপ্রিল- আগস্ট), মেজর এম.এ. মনজুর

(আগস্ট-ডিসেম্বর)

৯নং সেক্টর দৌলতপুর-সাতক্ষীরা সড়ক থেকে খুলনার দক্ষিণাঞ্চল এবং সমগ্র বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা মেজর এম.এ. জলিল (এপ্রিল-ডিসেম্বর প্রথমার্ধ), মেজর জয়নুল আবেদীন ( ডিসেম্বর এর অবশিষ্ট দিন)
১০নং সেক্টর কোনো আঞ্চলিক সীমানা নেই। নৌবাহিনীর কমান্ডো দ্বারা গঠিত। শত্রুপক্ষের নৌযান ধ্বংসের জন্য বিভিন্ন সেক্টরে পাঠানো হত --
১১নং সেক্টর কিশোরগঞ্জ মহকুমা বাদে সমগ্র ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা এবং নগরবাড়ি-আরিচা থকে ফুলছড়ি-বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত যমুনা নদী ও তীর অঞ্চল মেজর আবু তাহের (আগস্ট-নভেম্বর), ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট এম. হামিদুল্লাহ (নভেম্বর-ডিসেম্বর)
টাংগাইল সেক্টর সমগ্র টাংগাইল জেলা ছাড়াও ময়মনসিংহ ও ঢাকা জেলার অংশ কাদের সিদ্দিকী
আকাশপথ বাংলাদেশের সমগ্র আকাশসীমা গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ.কে. খন্দকার

বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতি

বুদ্ধিজীবী হত্যা

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের দুদিন আগে এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ডাক্তার, শিল্পী, সাংবাদিক, লেখকদের ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়। যদিও ২৫ মার্চ থেকেই শুরু হয় বুদ্ধিজীবী হত্যা।

১৬ ডিসেম্বর

তথ্যসূত্র

  1. পাকিস্তানের পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত চতুর্থ মেয়াদী পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার জন্য উপদেষ্টা প্যানেলের রিপোর্ট।

প্রসংঙ্গিক নিবন্ধসমূহ

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের ইতিহাস

de:Bangladesch-Kriegfa:جنگ آزادی‌بخش بنگلادش fi:Bangladeshin itsenäisyyssotaid:Perang Kemerdekaan Bangladesh mr:बांगलादेशाचे स्वातंत्र्ययुद्ध pl:Wojna o niepodległość Bangladeszusimple:Partition of Pakistan sv:Bangladeshs befrielsekrigtr:Bangladeş Kurtuluş Savaşı