সজিনা
সজিনা
প্রচলিত নাম: সজিনা
বৈজ্ঞানিক নাম: Moringa oleifera Lamk.
পরিবার: Moringaceae
ব্যবহার অংশ: মূল, ছাল, পাতা, বীজ, আঠা, ফুল ও ফল।
রোপনের সময় ও পদ্বতি: অঙ্গজ অংশের মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার করা হয়। বর্ষা মেৌসুমিতে রোপন করতে হয়।
জন্ম ও প্রাপ্তি স্থান: বাংলাদেশে যে কোন স্থানে সজিনা গাছ জন্মায়। বসত ভীটার আঙ্গীনায়,বাগানে চাষ করে থাকে।
সজিনা গাছের ধরণ: এটি একটি বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। সজিনা গাছ ৩০ ফুট বা তার অধিক লম্বা হয়ে থাকে। ফুল সাদা, এর ফল লম্বা, বীজ পক্ষল, অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ফুল হয়।
গুনাগুন:
শরীর ব্যাথা: শরীরের কোন স্থানে ব্যথা হলে বা ফুলে গেলে সজিনার শিকড় বেটে প্রলেপ দিলে ব্যথা এবং ফোলা সেরে যায়।
কান ব্যথা: শেকড়ের রস কানে দিলে কানের ব্যথা ভাল হয়ে যায়।
মাথা ব্যথা: সজিনার আঠা দুধের সাথে খেলে মাথা ব্যথা সেরে যায়। আঠা কপালে মালিশ করিলে মাথা ব্যথা সেরে যায়। ফোড়া হলে সাজিনার আঠা প্রলেপ দিলে সেরে যায়।
মুএপাথরী, হাপানী: সজিনা ফুলের রস দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে মূএপাথরী থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ফুলের রস হাপানী রোগে বিশেষ উপকারী।
গ্যাস: সজিনা পাতার রসের সাথে লবণ মিশিয়ে থেতে দিলে বাচ্চাদের পেটে জমা গ্যাস দূর হয়।
কুকুরে কামড়ে: সজিনা পাতা পেষণ করে তাতে রসুন, হলুদ, লবণ ও গোল মরিচ মিশিয়ে সেবন করলে কুকুরের বিষ নষ্ট হয়।
জ্বর, সর্দি: পাতার শাক খেলে জ্বর ও যন্ত্রাদায়ক সর্দি আরোগ্য হয়।
গর্ভপাতকারক: সজিনা গর্ভপাত কারক। সজিনার ছাল গর্ভাশয়ের মুখে প্রবেশ করালে গর্ভাশয়ের মুখ প্রসারিত হয়ে যায় এবং গর্ভপাত ঘটে।
সর্তকতা:' এই ঔষধটি নিদিষ্ট মাত্রায় সতর্কতার সাথে সেবন ও ব্যবহার করতে হয় ।
--Foez 07:06, 17 January 2010 (UTC)
http://en.wikipedia.org/wiki/Moringa_oleifera
Md: Baharul Islam