মন চাইলে রান্দি, মন চাইলে খাই
মন চাইলে রান্দি, মন চাইলে খাই
মাহমুদুল হক ফয়েজ
রায়পুরের চর বংশী ইউনিয়নের খাসের হাটের কামার শিল্পী ঝাকড়া চুলের প্রিয়রঞ্জন অধিকারী। বয়স পঞ্চাশ পেরিয়ে গেছে। বয়সের তুলনায় যেন একটু বেশি ন্যুজ হয়ে গেছেন। তামাটে চক্চকে শরীর। চামড়ায় কিছুটা ভাঁজ ধরেছে। চুলগুলো একটু কাঁচাই রয়ে গেছে। লক্ষ্মীপুরের পশ্চিমে শেষ প্রান্তে মেঘনার তীরে নারীকেল সুপারি ঘেরা ঘন সবুজ গ্রাম চর বংশী। বৃহত্তর নোয়াখালীর লীপুর জেলার এক ঘন সবুজ গ্রাম। বেড়ি বাঁধের পশ্চিমে মেঘনায় জেগে উঠছে বিস্তীর্ণ চর। নদী ধীরে ধীরে পশ্চিমে সরে যাচ্ছে। গ্রাম চিরে মেঘনায় চলে গেছে বংশী নদী। তারই তীরে গড়ে উঠেছে খাসের হাট বাজার। সে বাজারের এক পাশে খোলা ভিটির ওপর কামারের কাজ করেন প্রিয়রঞ্জন। কাঁচি ছুরি দা টুক টাক এটা ওটা বানায়। নানান কাজে মানুষেরা বানাতে দেয়। গ্রামের পরিচিত কৃষকরা মূলত তার গ্রাহক। তার কাজের কোনো সহযোগী নেই। যা পারে নিজে নিজেই তৈরি করেন। নিজেই মালিক নিজেই শ্রমিক। কোনো দিন পায় এক’শ, কোনোদিন পঞ্চাশ, কোনো দিন কিছুই হয় না। একটাই কাজ জানে। আয় বলতেও কামারের কাজের আয়। ভাবে চিন্তায় বৈরাগী মনের প্রিয়রঞ্জন কাজ করতে করতে ডানহাতকে সামনে এনে বাম হাত দিয়ে কনুই পর্যন্ত মেপে দেখায়, ‘যখন আমি এই ছোট্ট আছিলাম তখন
এরপর পৃষ্ঠা ১২
মাহমুদুল হক ফয়েজ