বিটকথা
বিট
বিটবাজারে এখন দেদার বিক্রি হচ্ছে বিট৷ শুধু রূপে যেমন অনন্য, গুণেও তেমনি৷ বিট সম্পর্কে জানতে চাইলে খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আলেয়া মাওলা বললেন, ‘এই সবজিটি দিনকে দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে৷ খেতে যেমন স্বাদের, পুষ্টিগুণেও ভরপুর৷ সবজিটিতে চিনি থাকায় শুধু ডায়াবেটিসের রোগী ছাড়া সবাই খেতে পারবেন৷’ আসুন, এবার সবজিটির গুণ বিচার করা যাক৷ শারীরিক ক্ষমতা বাড়াতে
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিট সত্যিই অনন্য৷ এতে প্রচুর পরিমাণে থাকা বোরন নামের উপাদানটি শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে৷
ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ
এতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার, ফসফরাস, আয়রন এবং ভিটামিন এ, বি ও সি, বিটা ক্যারোটিন, বিটা সায়ানিনের মতো প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো থাকে৷ গর্ভবতী মায়েদের জন্য বিট অনেক উপকারী৷ বিটে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলো মা ও অনাগত শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে৷
শরীর পরিষ্কারক বিট
শরীরের রোগজীবাণু প্রতিরোধে বিট কার্যকরী৷ লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে৷ এ ছাড়া রক্ত শোধনের কাজ করে, শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে৷
মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায়
বিটে থাকে বিটেইন নামের একধরনের উপাদান, যেটি শরীর ও মনের অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে৷ আরও থাকে ট্রাইটোফেন, যার প্রভাবে মন শিিথল হয়৷
শক্তির উৎস
এই সবজিতে থাকে প্রচুর শর্করা৷ এই শর্করা শরীরে শক্তি উৎপন্ন করে এবং কর্মক্ষম রাখে৷ অনেকে শরীরের জ্বালানিও বলে থাকেন৷
ক্যানসার রোধে
বিটের উপদানগুলো অনেক ধরনের ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়তে পারে৷ এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিট কোলন ক্যানসারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকরী৷
ক্ষয় পূরণে
শরীরে নতুন কোষ তৈির এবং কোষের সুরক্ষায় ফলিক অ্যাসিড অত্যাবশ্যকীয়৷ তাই প্রয়োজনে অনেকেরই কৃত্রিম ফলিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে৷ প্রাকৃতিক ফলিক অ্যাসিডের বড় উৎস এই বিট৷