জাম

From WikiEducator
Jump to: navigation, search

'জাম'


Kalozam-1.jpg


জাম

মাহমুদুল হক ফয়েজ


উদ্ভদিরে নাম : জাম, Zam

স্থানীয় নাম : জাম, জম্বু

ভেষজ নাম : Syzygium cumini Linn

ব্যবহার্য অংশ : গাছের ছাল, পাতা ও ফল

রোপনরে সময় : বর্ষাকাল

উত্তোলনরে সময় : বছররে যে কোনো সময় উত্তোলন করা যায়।

আবাদী/অনাবাদী/বনজ : আবাদি, অনাবাদী ও বনজ

চাষের ধরণ :বীজ থেকে গাছ উৎপন্ন হয়

উদ্ভিদের ধরণ: বৃক্ষ জাতীয় গাছ উপমহাদেশের সর্বত্র পাওয়া যায়।


ঔষধী ব্যবহার

১। সাদা বা রক্ত আমাশয়ঃ- জামের কচি পাতার রস ২। ৩ চা-চামচ একটু গরম করে ছেঁকে নিয়ে খেলে ২। ৩ দিনের মধ্যে সেরে যায়।(গরম লোহা ছ্যাঁকা দিলে ভাল হয়) সম্ভব হলে একটু ছাগলের দুধও তাতে মিশিয়ে নেওয়া ভাল।

২। জ্বরের সঙ্গে পেটের দোষ:-যাঁদের জ্বরের সঙ্গে পেটের দোষ থাকে, তাঁরা এই পাতার রস ২। ৩ চা-চামচ একটু গরম করে ছেঁকে খেলে উপকার হয়।

৩। শয্যামুত্রঃ- এ রোগে শিশু-বৃদ্ধ অনেকেই অসুবিধায় পড়েন এবং অনেক মা-কেও সন্তানের জন্য ভুগতে হয়। সেক্ষেত্রে ২। ৩ চা চামচ জাম পাতার রস (বয়সানুপাতে মাত্রা কম) ১/২ চা চাম গাওয়া ঘি মিশিয়ে প্রত্যহ ১বার করে খাওয়ালে সপ্তাহ মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপকার হবে।

৪। বমনেঃ- পিত্ত বিকৃতিতে বমি হতে থাকে, সেখানে ২। ১ টা কচি জাম পাতা জলে সিদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে ১০। ১৫ ফোঁটা মধু মিশিয়ে খেতে দিলে বমি বন্ধ হয়। ৫। রক্তরোধেঃ- হঠাৎ হাত-পা কেটে বা ছুড়ে গেলে জামপাতার রস সেখানে লাগালে তৎক্ষণাৎ রক্ত পড়া বন্ধ হয়, অথচ বিসিয়ে যাওয়ারও ভয় থাকেনা।

৬। পচা ঘায়ে (ঘৃত)- এর পাতাকে সিদ্ধ করে সেই কাথ দিয়ে ঘা ধুয়ে দিলে ২। ৪ দিনেই বিশেষ উপকার পায়া যায়। এমনকি পশুপক্ষীর ক্ষেত্রেও ওটি প্রয়োগ করা যেতে পারে।

৭। ক্ষতেঃ- যে ঘা(ক্ষত) তাড়াতাড়ি পুরে উঠছে না, সেখানে জামছালের মিহি গুঁড়ো ঐ ঘায়ের উপর ছড়িয়ে দিলে তাড়াতাড়ি পুরে যায়।

৮। রক্তদাসে-- জামছালের রস ১। ২ চা চামচ ছাগলের দুধে মিশিয়ে খেতে দিলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।

৯। দাঁতের মাড়ির ক্ষতেঃ- যাঁদের মাড়ি আলগা হয়ে গিয়েছে, একটুতে রক্ত পড়ে, তাঁরা জামছালের গুঁড়ো দিয়ে দাঁত মাজলে, উপকার হবে; তবে দাঁতে একটা ছোপ পড়ার সম্ভবনা আছে। অবশ্য ২। ১ দিন অন্তর মাজলে এ দাগ হয়না। এর সঙ্গে পাতার গুঁড়োও সমান-পরিমান মিশিয়ে ব্যবহার করলে ভাল হয়।

১০। পেটের দোষে :- যেসব বালক-বালিকার সর্বদা পেটের দোষের জন্য শরীর ভাল থাকে না, তাদেরকে ৫। ৬ গ্রেণ মাত্রায় জামছাল চূর্ণ ৫। ১০ফোঁটা গাওয়া ঘি ও অল্প চিনি মিশিয়ে কিছুদিন খাওয়ালে স্বাস্থ্য ভাল হয়।

১১। হাত-পা জ্বালায়- পাকা জামের রস মাখলে তৎক্ষণাৎ কমে যায়।

১২।পাতলা দাস্ত, অরুচি ও বমিভাব:- পাকা জাম সৈন্ধব লবণ মাখিয়ে ৩। ৪ ঘন্টা রেখে, সেটা চটকে, ন্যাকড়ার পুঁটলি বেঁধে টানিয়ে রাখলে যে রস ঝরে পড়বে, সেটা ২০। ২৫ ফোঁটা প্রয়োজন বোধে ১ চা চামচ জল মিশিয়ে খেতে দিলে পাতলা দাস্ত, অরুচি ও বমিভাব কমে যায়। তবে লবণ একটু বেশী থাকলে ওটি শীঘ্র নষ্ট হয় না এবং মাঝে মাঝে রৌদ্রে দিতে হয়।

১৩। ডায়াবিটিসেঃ- জামবীজের ব্যবহার বহুদিন থেকে হয়ে আসছে, এ ক্ষেত্রে একটি বক্তব্য আছে- আয়ুর্বেদ মতে একটি বায়ুবর্ধক, যেহেতু এটি কষায় রসধর্মী। যাঁদের ডায়াবিটিসের সঙ্গে হাই ব্লাডপ্রেসার আছে, তাঁদের এটি ব্যবহার করা সমীচীন নয়।

নিষেধঃ- আধপাকা (ডাঁসা) জাম খাওয়া উচিত নয়। আর যাঁদের পেটে বায়ু হয়, তাঁদের না খাওয়াই ভাল।


সুত্রঃ-

চিরঞ্জীব বনৌষধী

আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য


মাহমুদুল হক ফয়েজ

মুঠোফোনঃ ০১৭১১২২৩৩৯৯

e-mail:- mhfoez@gmail.com


--Foez 09:09, 5 June 2013 (UTC)