চৌমুহনী কলেজ
চৌমুহনী কলেজ
মাহ্মুদুল হক ফয়েজ
বিষন্ন দপুর মরে যায়
হলুদ বিকেল ছায়া ফেলে কলেজের আঙ্গিনা ’পরে
তখন বেরোই প্র্যাকটিকেল ক্লাশ থেকে ।
আঁতরের মতন জড়িয়ে থাকে
হাইড্রোজেন সালফাইড, ক্লোরিনের জল ।
এক স্বর্গ থেকে আরেক স্বর্গে রাখি পা
ছাত্র শূন্য কলেজের করিডোর ।
বাংলা কমার্স দর্শন ক্লাশ হয়ে গেছে শেষ-
বাংলা বিভাগের ক্লাশ শেষে
রূপসী মেয়েরা চলে গেছে
শাড়ির গন্ধ রেখে গেছে সবুজ ঘাসের পাতায়-
সেই ঘাসে রাখি পা, গন্ধ নেই
আবসন্ন শরীর জুড়াই সবুজ ঘাসের শরীরে ।
ইউকেলিপ্টাসের সূউচ্চ ডাল থেকে
কলেজ ডেকে বলে, ‘এসো,
আমার শরীরে শরীর রাখ, শব্দের মতন গতিশীল হও’
আক্ষরিক নীতি ছড়ায় তথাগত বুদ্ধের মতন ।
নারিকেল তলায় আযথা দাঁড়িয়ে থাকা
অবাধ্য পাখিদের মতন অর্থহীন উল্লাস
বায়হনিয়া অথবা বকফুল গাছ থেকে
ফুল তুলে আনা
উদাস কবিদের মতন সেই ফুল হাতে নিয়ে ঘুরা !
কলেজ আঙ্গিনা থেকে এই সব দৃশ্য
শেষ হবে কবে ?
বাংলা অধ্যাপকের সাথে ইদানিং সাহিত্য নিয়ে
তুমুল তর্কে মেতে উঠা
এই পৃথিবীর রাজনীতি কোন পথে যাবে
তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের আর কত দেরি
বিজ্ঞানের গভীর অরন্যে ডুব দিয়ে
কোন এক বিজ্ঞানী নতুন দিগন্ত করেছে প্রসার ।
সব কিছু সমাধা করে দেয়
কলেজ আঙ্গিনা পাড়া ।
একদিন এই সব মূহুর্তগুলো ইতিহাস হয়ে রবে ;
চোখের পলক, প্রতি পদক্ষেপ, হাসি গান
প্রেম আনন্দ কোলাহল ।
এই গনিপুর নরত্তমপুরের বুকের মধ্যে
চৌমুহনি কলেজের মূহুর্তগুলো
হৃদয়ের নির্বাচিত রক্তের করুন স্রোতে
ইতিহাস হয়ে জেগে রবে
শুধু জেগে রবে ।।
--Foez 17:16, 31 August 2010 (UTC)