গুণের শাক কলমি
'গুণের শাক কলমি'
কলমি শাক এক ধরনের অর্ধ জলজ লতা। একে সাধারণত শাক হিসেবেই খাওয়া হয়ে থাকে। কলমি শাকের বৈজ্ঞানিক নাম আইপোসিয়া অ্যাকোয়াটিক। আর ইংরেজিতে একে water spinach বা chainess spinach বলা হয়।
কলমি শাকের আদি নিবাস কোথায় তা জানা যায়নি। তবে পূর্ব, দক্ষিন ও দক্ষিন–পূর্ব এশিয়াতে এর ব্যাপক চাষ হয়ে থাকে। আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চলেও কলমি শাকের চাষ করতে দেখা যায়। কলমি শাক পানিতে বা ভেজা মাটিতে জন্মে থাকে, এই শাক চাষের জন্য বেশি যত্নেরও দরকার হয় না। কলমি শাকের ডাঁটা সাধারনত ২-৩ মিটার দীর্ঘ হয়ে থাকে। ডাটা ফাঁপা হয় বলে পানিতে বেশ সহজে ভেসে থাকতে পারে। এর পাতা লম্বাটে আকৃতির, রঙ সবুজ আর ফুল ট্রাম্পেট আকৃতির হয়ে থাকে। ফুলের রঙ সাদা ও গোড়ার দিকে বেগুনী।
পুষ্টি গুনে কলমি শাক অনন্য। এই শাক মালয়শিয়ান ও চীনা খাবারে ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আমাদের দেশে সাধারনত কলমি শাক ভাজি করে খাওয়া হয়। প্রতি ১০০ গ্রাম কলমি শাক থেকে আমরা পাই –
পানি- ৮৯ ৭ গ্রাম
আমিষ – ৩ ৯ গ্রাম
লৌহ – ০ ৬ গ্রাম
শ্বেতসার – ৪ ৪ গ্রাম
আঁশ – ১ ৪ গ্রাম
ক্যালসিয়াম – ০ ৭১ মিলিগ্রাম
থায়ামিন – ০ ৯ মিলিগ্রাম
নায়াসিন – ১ ৩ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি – ৪৯ মিলিগ্রাম
ক্যালোরি – ৩০ কিলো ক্যালোরি
কলমি শাকের উপকারিতা –
- কলমি শাকে ক্যালসিয়াম থেকে বলে এই শাক হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের কলমি শাক খাওয়ানো উচিত।
- কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ করে।
- কলমি শাক বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
- কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমানে লৌহ থাকায় এই শাক রক্ত শূন্যতার রোগীদের জন্য দারুন উপকারি।
- জন্মের পর শিশু মায়ের বুকের দুধ না পেলে মাকে কলমি শাক রান্না করে খাওয়ালে শিশু পর্যাপ্ত পরিমানে দুধ পাবে।
- নিয়মিত কলমি শাক খেলে কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর হয়।
- See more at: http://www.priyo.com/2013/09/14/31296.html#sthash.vZgJMGM8.dpuf